অগ্রসর রিপোর্ট : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পারিবারিক বিরোধ মেটাতে গিয়ে কুপিয়ে আবদুস সালাম নামে এক ব্যক্তির হাত বিচ্ছিন্ন ও তার পরিবারের নারিসহ তিন সদস্যকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইশ্বরগনজ থানায় ভিকটিমের বড়ভাই হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে দশ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। আটক দুই আসামিকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমনের লোকজন পুলিশের কাছে তদবীর করছে বলে ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে জানতে ইশ্বরগনজ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়াকে ফোন করা হলে তিনি তথ্য দিতে আপারগতা প্রকাশ করেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিজানুর রহমান বলেন, শনিবার সন্ধায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের টংটংগিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে এমদাদুল হক (৩৫) তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। ঝগড়া দেখে চাচা আব্দুস ছালাম সুরাহা করতে গেলে পূর্ব শত্রুতার অংশ হিসেবে এমদাদুল হক দা দিয়ে কুপিয়ে আব্দুস ছালামের হাত বিচ্ছিন্ন করে। চিৎকার শুনে আব্দুস ছালামের ছেলে মিজানুর রহমান, তরিকুল ইসলাম ও মেয়ে মাইমুনা বাবাকে উদ্ধার করেতে গেলে এমদাদুল হক তার লোকবল নিয়ে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা মারাত্বক আহত অবস্থায় আব্দুস ছালাম, তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও মাইমুনাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাইমুনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাকিদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর আসলে আব্দুস ছালামের অবস্থা শংকটাপন্ন দেখে তাকে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরিকুল ইসলামের শরীরে ১৫০ টি ও মিজানুর রহমানের শরীরের ৬০ টি সেলাই দিয়েছে চিকিৎসকরা।
এঘটনায় আব্দুস ছালামের বড় ভাই হাবীবুর রহমান বাদী হয়ে ৯ জনের নামে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। অভিযুক্তরা হলেন এমদাদুল হক, উবায়দুল্লাহ, রহিমা খাতুন, মো: সোহেল, মাজত আলী, মো: সবুজ, একরাম হোসেন, আনিস মিয়া ও আব্দুল করিম। ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে এই ঘটনার বিষয়ে জানতে ইশ্বরগনজ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়াকে ফোন করা হলে তিনি মামলার কথা স্কিকার করলেও মামলাটি সেনসেটিভ বলে তথ্য দিতে আপারগতা প্রকাশ করেন।
ঘটনার সাথে জড়িত অনেকেই ইশ্বরগনজ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমনের লোক তাই পুলিশ লুকোচুরি খেলছে বলে ভিকটিম পরিবারের অভিযোগ।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।