অগ্রসর রিপোর্ট :মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ২৩৭ জন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৬ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ডসংখ্যক করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ২৩০ জন, যা এ যাবতকালে একদিনে সবচেয়ে বেশি। দেশে মোট শনাক্তও ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১০ হাজার ৯৮২ জন।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৮৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৬ হাজার ২৩০ জন শনাক্ত হন, যাতে শনাক্তের হার ৩০.১২ শতাংশ। আর মোট গড় হার ১৫.৯১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪৯ জন ও নারী ৮৮ জন। নতুন মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১৩৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৯ জন।
মৃত ২৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬২ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১ জন, খুলনা বিভাগের ৩৪ জন, বরিশাল বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের ১৮ জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৭ জন।
গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৭০ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪ জন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় ২৩ জুলাই থেকে আবার ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলছে।