অগ্রসর রিপোর্ট : করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে। একই সময়ে আরও ৬১৯ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ এই তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৭০২ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৯০ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ২০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৯৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৮৭ জন রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬১জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ২০০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৮৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ২৭৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার কমে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমেছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
দেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি দশ লাখে শনাক্ত ৩১১৭.২৬, সুস্থ ২৭৯২.৩৮ ও মৃত্যু ৪৬.৮৬।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ আর নারী পাঁচজন। মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স ৯ জনের। এছাড়া বাকি ছয়জনের বয়স ৩১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৪৭ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৩৪ জন নারী।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।