মৃত্যু পরোয়ানার কপি গত শুক্রবার পাওয়ার পর তা তাকে পড়ে শোনানো হয়েছে। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান আজ মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, যথাযথ আইনগত সব প্রক্রিয়া শেষ করে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আপিল বিভাগের রায় হাইকোর্ট হয়ে নিম্ন আদালতে যাওয়ার পর বিচারিক আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে এবং তা গত শুক্রবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়।
মুফতি হান্নান আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন। তাতে রায় না বদলালে ফাঁসির দড়ি এড়াতে তার সামনে কেবল দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ থাকবে।
তিনি সেই সুযোগ না নিলে অথবা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে কারাবিধি অনুযায়ী এই জঙ্গিনেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে সরকার।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে গ্রেনেড হামলায় আনোয়ার চৌধুরীসহ অনেকে আহত হন। নিহত হন পুলিশের ২ কর্মকর্তাসহ ৩ জন।
পরে পুলিশ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। পরবর্তীতে সম্পূরক চার্জশিটে আরেক জঙ্গি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ও মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়েও ওই ৩ আসামির সর্বোচ্চ সাজার সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।