জার্মানির মিউনিখ শহরে একটি বিপণিকেন্দ্র গতকাল শুক্রবার এক বন্দুকধারীর হামলায় নয়জন নিহত হয়েছে। চিকিৎসাধীন আরো ১৬ জন আহত। এছাড়া শিশুসহ কমপক্ষে ২১ জন আহত হয়েছে। পরে ১৮ বছরের এই বন্দুকধারী আত্মহত্যা করে।
এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ বলছে, হামলাকারী হিসেবে একজন সন্দেহভাজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই তরুণ নিজের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, হামলাকারীর উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। তিনি ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। পুলিশের কাছে তার বিষয়ে আগের কোনো তথ্য নেই। তার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো রেকর্ডও নেই।
ওই বিপণিকেন্দ্রে গুলির ঘটনায় শুরুতে পুলিশ ধারণা করেছিল, অন্তত তিনজন বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছে। কালো পোশাকধারী এক ব্যক্তি নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বেরিয়ে আসছে—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আতঙ্ক ছড়াতে থাকে।
গুলির এ ঘটনায় শহরের প্রধান রেলস্টেশনটি ফাঁকা করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় শহরের বাস, পাতালরেলসহ অন্যান্য গণপরিবহন। এতে আটকা পড়ে লোকজন। শহরবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে টুইট করে পুলিশ।
মিউনিখের পুলিশ তাদের ফেসবুক পেজে হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে এ ঘটনাকে ‘সন্দেহজনক সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করে।
স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে শহরে ম্যাকডোনাল্ডসের একটি রেস্তোরাঁয় গুলির ঘটনা শুরু হয়। পরে তা আশপাশের সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বন্দুকধারী সেখানকার অলিম্পিক স্টেডিয়ামের পাশে অলিম্পিয়া শপিং মলে ঢুকে পড়ে। দ্রুত বিপণিবিতানটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। আকাশে চক্কর দিতে থাকে হেলিকপ্টার।
পুলিশ বলছে, ওই সন্দেহভাজনের লাশ অলিম্পিয়া বিপণিকেন্দ্র থেকে এক কিলোমিটার দূরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সূত্র: আলজাজিরা