প্রত্যক্ষদর্শী ও বাংলাদেশী কর্মকর্তারা জানান, পালানোর সময় বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
গোলযোগপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযানকালে অন্তত ১শ ৩০ জন নিহত হয়েছে। রাজ্যটির অধিকাংশ বাসিন্দাই সংখ্যালঘু রাখাইন মুসলিম।
অ্যাক্টিভিস্টরা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা পল্লীর কয়েকশ বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
তবে সরকার এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। বিদেশী সাংবাদকিদেরও ওই এলাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
রাখাইন রাজ্যে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাস করে। দেশটির সরকার রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
দেশটির জনগণ রোহিঙ্গাদেরকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী মনে করে।
গত মাসে সমন্বিত হামলায় ৯ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর রাজ্যটির বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়।
পুলিশ ওই হামলার জন্য রোহিঙ্গাদের দায়ী করছে।
ওই ঘটনার পর সৈন্যরা রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু অংশ অবাধ চলাচলের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে এবং সেখানে ত্রাণ কর্মী ও স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের যেতে দেয়া হচ্ছে না।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সহিংস হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছে।
অং সান সুকি’র সরকার রাখাইন রাজ্যের সমস্যা খতিয়ে দেখতে একটি সরকারি কমিশন গঠন করেছে।
মায়ানমারে জাতিগত নিপীড়ন: কয়েকশ’ রোহিঙ্গার দেশত্যাগের প্রচেষ্টা
অগ্রসর রিপোর্ট : মায়ানমারের কয়েকশ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। সেনা সদস্যদের কঠোর দমনপীড়নে তারা বাধ্য হয়ে শিশুদের নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঢুকতে চাচ্ছে।