অগ্রসর রিপোর্ট :মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরানোর জন্য পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার চিন্তার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এছাড়া করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক দফা বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৬ মে’র পর আরও এক দফা লকডাউন বাড়ছে। একই সঙ্গে করোনার বিস্তার রোধে জনসাধারণকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর কয়েক মাস সাধারণ মানুষ জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থায় গেলেও পরবর্তীতে তাদেরও মধ্যে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে এক ধরণের শিথিলতা দেখা যায়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বের হলেও অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। না হলে জরিমানা গুণতে হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়। এ নিয়ে কিছুদিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতা দেখা গেলেও পরবর্তীতে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়।
মার্চের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকে। এরপর করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করলে ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন পালন করা হলেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। পরে তা ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
করোনার সংক্রমণ কমাতে চলমান লকডাউন আরও বাড়ানো হবে বলে শুক্রবার জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এছাড়া মানুষকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরানোর জন্য পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার চিন্তার কথা জানান তিনি।