স্টাফ রিপোর্টার: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সমন্বিত ‘এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ্যাক্ট’ প্রণয়ন করা হচ্ছে।
‘সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। তাদের মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এজন্যই সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি সমন্বিত আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একীভূত হলো,’ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে একথা বলেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের কোয়ালিটি এ্যাসিউরেন্স ইউনিট দেশের সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গ্রেডিং করার লক্ষ্যে প্রণীত ‘এ্যক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ্যাক্ট’ এর খসড়া চূড়ান্তকরণের জন্য এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ইউজিসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষা সচিব মো: সোহরাব হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মহন্ত প্রমুখ। এছাড়াও দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্য ও উপ-উপচার্যগণ আলোচনায় অংশ নেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগটি দীর্ঘদিনের। কিন্তু এটি নিয়ে যাতে বড় ধরনের কোন বিতর্ক তৈরি না হয় সেজন্য সময় নেয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজ তিনি অত্যন্ত খুশি। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এবার আইনটি চূড়ান্ত পর্যায়ে। এ নিয়ে আর কোন বিতর্কের অবকাশ থাকলো না,’ শিক্ষামন্ত্রী আইন সম্পর্কে উপস্থাপিত বিভিন্ন বক্তব্য, পরামর্শ ও পর্যালোচনার জবাবে উপস্থিত শিক্ষাবিদ ও উপাচার্যগণকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষায় পরিসংখ্যানগত দিক থেকে অনেক অগ্রসর হয়েছি। কিন্তু গুণগত দিক থেকে এখনো পিছিয়ে আছি। এজন্য আমাদের এই আইনটি জরুরী। আমরা বিশ্বাস করি, আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবো।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং কিছু জায়গায় প্রয়োজনীয় সংশোধনেরও পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশে নীরবে শিক্ষা বিপ্লব ঘটেছে। দেশে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। কাজেই সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন আর আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। এসব শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্মাণে এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ্যাক্ট গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করবে।
তিনি আইনটি চূড়ান্তকরণে আরো কোনো পরামর্শ থাকলে সেসব পরামর্শ লিখিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।