অগ্রসর রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের পর বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে মাঙ্কিপক্স। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। এ অবস্থায় ভাইরাসটি প্রতিরোধে দেশে সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত মাঙ্কিপক্স রোগীদের ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআরে রোগীর বিষয়ে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলামের সই করা চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ রোগকে পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকান দেশগুলোতে অ্যান্ডেমিক হিসেবে ধরা হয়, মাঙ্কিপক্স নতুন রোগ নয়। আগে শুধুমাত্র মধ্য আফ্রিকা বা পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলোতে ভ্রমণকারীদের বা বাসিন্দাদের মধ্যে শনাক্ত করা হলেও সম্প্রতি ভ্রমণের ইতিহাস নেই। মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী এমন ব্যক্তিদের মাঝে।
ফুসকুড়ি রোগীদের মধ্যে দেখা গেলে এবং সম্প্রতি মাংকিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে এমন দেশগুলোতে ভ্রমণ করলে, অথবা কোনো ব্যক্তি বা লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যাদের একই রকম ফুসকুড়ি দেখা গেছে। নিশ্চিত বা সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। তাদের মাংকিপক্সের জন্য সন্দেহজনক রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত রোগীকে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআরে তাদের তথ্য পাঠাতে হবে।
নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর সমূহে আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওপর দৃষ্টি রাখা ও হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করা।
করোনা মহামারির মতোই এখন এই নতুন ভাইরাস নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১৪টি দেশে ৯২ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।