অগ্রসর রিপোর্ট : মসজিদে না যেয়ে নিজ ঘরেই নামাজ আদায়ের পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।
উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে অনধিক ৫ জন এবং জুমআর জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে অন্য মুসল্লি মসজিদের ভিতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জনসমাগমের মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার ঘটছে। পাশ্ববর্তী দেশগুলোতেও এ ধরনের বিস্তার ও প্রাণহানীর ঘটনার উদাহরণ বিদ্যমান। ইতোমধ্যে মুসলিম স্কলারদের অভিমতের ভিত্তিতে পবিত্র মক্কা মোকাররমা ও মদিনা মোনাওয়ারাসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের মসজিদে মুসল্লিদের আগমন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার জোর পরামর্শ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকেও উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।
এ সময় দেশের কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলিগি তালিম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে কোরআন তেলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও এ সময়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।
কোনো প্রতিষ্ঠানে সরকারি এই নির্দেশ লংঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।