নিজস্ব সংবাদদাতা- মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাসময়ে নির্বাচন দেবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নই ওঠে না। গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি সেখানে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্মোহনী নেতৃত্বের অধিকারী ছিলেন। মানুষ বঙ্গবন্ধুর কথায় আকৃষ্ট হতো। জনসাধারণ যাতে বঙ্গবন্ধুর কথা না শোনে, সেজন্য পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অনেক অপপ্রয়াস চালিয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। মানুষের জন্য মায়া-মমতা ও ত্যাগ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধুতে পরিণত করেছে। ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বলেন, কাগজপত্রে তার জন্মদিন ১৫ আগস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে কারো জন্মদিন ১৫ আগস্ট হতেই পারে। কিন্তু জন্মদিনের আনন্দ উদযাপন পরের দিনও করা যায়।
সভাপতির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, জাতিকে অকুণ্ঠ ভালোবাসলে হূদয়ে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক সভা পরিচালনা করেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য এনামুল হক শামীম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজীর আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ।
সৈয়দ আশরাফ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আর এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা যাতে দেশে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারেন, সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।