স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভয়কে জয় করে আজ জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনের বলরুমে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেড আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক ব্রান্ডিং কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই ব্রান্ডিং এর স্লোগান ‘কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ, শেখ হাসিনার অবদান’।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই দেশের অগ্রগতি ব্যাহত করার জন্য গুপ্তহত্যা-জঙ্গি হামলা চালানো হচ্ছে। এই সকল হামলার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানুষ ভয়কে জয় করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক ব্রান্ডিং কার্যক্রমের দলনেতা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান কবীর, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অয়ন দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, অসাম্প্রায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অগ্রযাত্রাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। এ অবস্থায় কোন অপশক্তির কাছে মাথানত করা যায় না। তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ওই সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের দেয়ালে লাগানো সকল ধরনের রাজনৈতিক পোস্টার তুলে ফেলার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউিনিটি ক্লিনিকের দেয়ালে লাগানো সকল ধরনের রাজনৈতিক পোস্টার তুলে ফেলতে হবে। যদি কোন ক্লিনিকের দেয়ালে রাজনৈতিক পোস্টার পাওয়া যায় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনন্য উদ্ভাবন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর এই স্বপ্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, আজ বিশে^ এক অনুকরণীয় উদাহরণ। শুধু স্বাস্থ্য সেবা নয়, এটি জনগণের ক্ষমতায়নের এক উজ্জল উদাহারণ। এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে গঠিত কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে। কমিউনিটি গ্রুপই হলো কমিউনিটি ক্লিনিকের চালিকা শক্তি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষকে স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ কার্যক্রম শুরু হয়। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষ স্বাস্থ্য সেবা লাভের সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দূর্ভাগ্যের বিষয়, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের দালানগুলো পরিণত হয় গরু-ছাগল লালন কেন্দ্রে। গ্রামের গরীব দুঃখী মানুষ স্বাস্থ্য সুবিধা লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে।
আওয়ামী লীগ সব সময়ে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে জানিয়ে নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে পিছনের দিকে যায়। যারা জাতির পিতার আদর্শের রাজনীতি করে তারা সব সময় প্রতিটি কাজে জনগণের কল্যাণ করতে চায়। আর যারা রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করে, ক্ষমতায় বসে তারাই রাজনীতির নামে জনগণের দূর্ভোগ বাড়ায়। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে বিএনপি জামায়াত প্রমাণ করেছে তারা জনগণের কল্যাণ চায় না, তারা গণ বিরোধী।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।