অগ্রসর রিপোর্ট : কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার স্টেশনের আউটারে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেন সিগন্যাল না মানায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে রেলওয়ে জানিয়েছে।
সোমবার বিকাল সোয়া তিনটার দিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এগারসিন্ধুর গৌধূলির দুটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত বগি থেকে প্রথমে দশজনের এবং পরে একে একে আরও ৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এগারসিন্দুর ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পরপরই স্টেশনের আউটারে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা জানিয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত জানাতে না পারলেও প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় দুটি ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
এছাড়াও উদ্ধার কাজে যোগ দিতে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা সদরদপ্তর থেকে ২৩ জন, নরসিংদী থেকে ১০ জন, বেলাবো থেকে তিনজনসহ মোট ৩৬ কর্মী ভৈরবে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মোশাররফ হোসেন ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের কাছে ১৫টি মরদেহ রয়েছে। আরটি চারটি মরদেহ রয়েছে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে নিহতদের কারো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ভৈরবে দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলীয় রুটগুলোতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।