আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ তিনগুণ করার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রচলিত আইনে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণবাবদ জমির মূল্যের দেড়গুণ অর্থ পরিশোধ করা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, এ আইনটি ইলাবোরেট করার জন্য আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভূমি সচিব ও প্রতিরক্ষা সচিবকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
‘এ কমিটি পাবলিক পারপাজ ও পাবলিক ইন্টারেস্ট বিষয়ে অধিগ্রহণ বলতে কি বুঝায়-তা আলোচনা করে ঠিক করবেন।’
ক্ষতিপূরণ দেয়ার সময় ১২ মাসের জমি কেনাবেচার দলিলের গড় বিবেচনায় নিয়ে জমির দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানান শফিউল।
এতদিন জমি অধিগ্রহণের সময় ক্ষতিপূরণ দেয়া হত ১৯৮২ সালের একটি অধ্যাদেশ অনুসরণ করে। সামরিক শাসনের সময় জারি করা ওই অধ্যাদেশ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলা করে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়িয়ে এই নতুন আইন হচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
তিনি বলেন, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুলদখল আইনের খসড়া আরো যাচাই করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আইনটি ‘জটিল’ বিবেচনা করে খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য আইনমন্ত্রীকে প্রধান করে ভূমি সচিব ও প্রতিরক্ষা সচিবকে রেখে একটি কমিটিও করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটিতে প্রয়োজনে আরো সদস্য নেয়া যাবে।
শফিউল বলেন, আইনটি ব্যাপকভাবে জনস্বার্থ সম্পৃক্ত হওয়ায় আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, কোন উদ্দেশ্যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে তা স্পষ্ট করতে আইনে ‘পাবলিক পারপাস’ ও ‘পাবলিক ইন্টারেস্ট’- শব্দ দুটোর সংজ্ঞা ও বিশ্লেষণ আইনে সন্নিবেশিত করতে বলা হয়েছে। ওই শব্দ দুটি আইনের খসড়ায় যেভাবে আনা হয়েছে তাতে বিস্তারিত বোঝা যায় না। হাই কোর্টের নির্দেশনার আলোকে বিস্তারিতভাবে সবগুলোকে একসাথে করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর হাঙ্গেরি সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর জাপান সফর বিষয়টি।