অগ্রসর রিপোর্ট : ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাধারণ নির্বাচন বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৯০ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। ৬৮ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আশা করছেন।
বুথ ফেরত জরিপে মোদিই এগিয়ে আছেন। তবে তিনি নেহেরু-গান্ধী পরিবারের কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মোদির বিরোধীরা দেশটিতে চলমান ব্যাপক বেকারত্ব ও গ্রামীণ অঞ্চলে চরম দারিদ্রতার বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এভারের নির্বাচনে সাতটি ধাপে ভোট গ্রহণ করা হবে। দার্জিলিংয়ের চা বাগান থেকে মুম্বাইয়ের বস্তি, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ ভারতের সকল অঞ্চলের বাসিন্দা এবারের নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। কোন অঞ্চলই ভোট গ্রহণের আওতা থেকে বাদ যাবে না।
নির্বাচনের সময় সহিংসতার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতাবস্থায় রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই সন্দেহভাজন মাওবাদী বিদ্রোহীদের অতর্কিত হামলায় স্থানীয় এক আইনপ্রণেতা নিহত হয়েছেন।
১৯ মে পর্যন্ত নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলবে। দেশব্যাপী ৫৪৩টি আসনে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৩ মে ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে।
চীনা সীমান্তবর্তী জনপদসহ বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি ও গভীর বনাঞ্চল বেষ্টিত এলাকাগুলোতে ১১ লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন পাঠানো হবে।
একজন ভোটারও যেন ভোটাধিকার প্রয়োগে অসমর্থ না হয় নির্বাচন কমিশন সে দিকে লক্ষ্য রাখছে। প্রতিটি ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রায় ১৪ কোটি ২০ লাখ ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকাল ৭টা থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। অন্যান্য স্থানে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ করা হয়।
ভোট শুরুর পর মোদি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আজ প্রথম দফায় সকল ভোটারকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে করে এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পরে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশেষ করে আমি তরুণ ও নতুন ভোটারদের ভোট দেয়ার অনুরোধ করছি।’
মোদির কট্টর ডানপন্থী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিএজপি) ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে।
বিজেপি সমগ্র ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে বলে সমালোচকদের অভিযোগ।বিজেপির শাসন আমলে গরুর মাংস খাওয়া ও বেচা-কেনার জন্য মুসলিমদের উপর হামলা এমনকি হত্যাও করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুলের পাঠ্যবইয়ে সংশোধন করা হয়েছে।