এতে অন্তত ২৩ থেকে ৩৫ জন খনি কর্মী আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধসের মধ্যে ৩০০ ফুট গভীরে ১৫টি ডাম্পার ও চারটি পে-লোডারও ডুবে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সন্ধ্যা রাতে দূর্ঘটনা ঘটলেও রাত ১টার আগে উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
ঝাড়খ- পুলিশের মুখপাত্র আর কে মল্লিক ১০টি মৃতহদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। খনি কর্তৃপক্ষের ধারণা আরো ২-৩ মৃতদেহ চাপা পড়া অবস্থায় রয়ে গেছে।
খনির ভেতরে মোট কতজন আটকা পড়েছেন তা জানাটা কঠিন হয়ে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ডজনখানেক লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই এলাকাজুড়ে লোডশেডিং হয়ে যাওয়ায় ও ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।
পুলিশ সুপার হরিলাল বাবু জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় রাতে উদ্ধারকারী দলের পৌঁছতে সময় লেগে যায়।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। উদ্ধারকাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উদ্ধারকাজে রাজ্য সরকারকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইস্টার্ন কোলফিল্ডস্ লিমিটেড খনিটি পরিচালনা করত। এর শীর্ষ কর্মকর্তা নিলাদ্রি রায় জানিয়েছেন, কাজ শেষে কর্মীরা বের হওয়ার পথের দিকে এগোনের সময় খনিটির আড়াইশ’ মিটারের মতো অংশ ধসে পড়ে।
কী কারণে খনি ধসের এ ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তার কোনো ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলেও ঘ্টনার কারণ অনুসন্ধানে সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার, এনডিটিভি