ষ্টাফ রিপোর্টার- ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার সাদ আল নাহিন ও মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোল্লা সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই দীপক দে রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে বলেন, নিলয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নাহিন ও রানার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত অস্ত্র উদ্ধার, আর কারা তাতে জড়িত ছিল— এসব বিষয়ে জানতে দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শেখ মাহাবুবুর রহমান দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতে নেয়ার আবেদন করেন।
জানা গেছে, নাহিন ও মাসুদের পক্ষে শুনানিতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তাদের জামিনেরও কোনো আবেদন করা হয়নি। শুনানির একপর্যায়ে বিচারক জানতে চান, তাদের কিছু বলার আছে কিনা। জবাবে নাহিন জানান, তার কিছু বলার নেই। শুনানি শেষে বিচারক আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরা থেকে নাহিন এবং মিরপুরের কালশী থেকে রানাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা নাহিনকে পাঁচদিন আগে পুলিশ পরিচয়ে উত্তরায় তার বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবারের দাবি।
রিমান্ড শুনানির আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, গ্রেফতার দুজন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তারা ব্লগার আসিফ মহীউদ্দিন হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি ছিলেন। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশ তাদের নজরদারিতে রেখেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র নাহিনের বাবা নজরুল হক কিশোরগঞ্জে একটি স্কুলের শিক্ষক। তিনি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের দাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু তার বড় ভাই।