অগ্রসর রিপোর্ট : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বে সাম্য প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু থেকে শিক্ষার অনেক কিছু রয়েছে।
তিনি আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক-২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইইবি) এর সেমিনার হলে জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. কবির আহমেদ ভূঁঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, চ্যানেল ৭১ এর প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু। বিশেষ আলোচক ছিলেন লে. কর্ণেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বিশেষ আলোচক ছিলেন সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদের প্রধান উপদেষ্টা মোনায়েম সরকার ও স্বাগত বক্তৃতা করেন আবদুল আউয়াল ভূঁঞা।
অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এমিরেটার্স অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাতকে বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক-২০১৯ প্রদান করা হয়।
তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘কোন কোন ক্ষেত্রে কেউ পদক পেয়ে সন্তুষ্ট হন, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে কাউকে পদক দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্মানিত হন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক দেয়ায়, বঙ্গবন্ধু না যতটা সম্মানিত হয়েছেন, সেই সময় ওই প্রতিষ্ঠানটিই সম্মানিত হয়েছে। কারণ সেই সময় বঙ্গবন্ধুকে শান্তি পদক দেয়া ছাড়া আমার মনে হয় আর কোন বিকল্প নাম ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে ছিল না। বঙ্গবন্ধু সেই মাপের নেতা ছিলেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ যে সমুদ্রসীমা অর্জন করেছে, তার চুক্তি বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। ছিটমহলসহ এমন আরো অনেক বিষয়ে বঙ্গবন্ধু যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যার সুফল এখন আমরা ভোগ করছি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠিত করে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকে যখন হত্যা করা হয়, তখন দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হার ছিল ৭ দশমিক ৪। মাত্র দুই বছর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমরা সেই প্রবৃদ্ধির হারটি অতিক্রম করতে পেরেছি। তিনি বেঁচে থাকলে অনেক আগেই অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যেত।’