অগ্রসর রিপোর্ট: আদালতে মামলার শুনানিকালে বিচারক ও আইনজীবীর মধ্যে হওয়া বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন না করতে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। আজ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এডভোকেট শান্তি পদ ঘোষের “জুডিশিয়াল ইন্টারপিটেশন” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেয়া কালে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রেস কনফারেন্স করে কোনো কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব না। বিচারক হিসেবে কোনো মামলার শুনানির সময় আইনজীবীকে একটা প্রশ্ন করতে পারি। এটা বিচারকের স্বাধীনতা। প্রশ্নটা কি কারণে কোন উদ্দেশ্যে, তা না বুঝে, কোট করলে, অনেক সময় ভুলভ্রান্তি হতে পারে। তিনি বলেন, প্রেক্ষিত না বুঝে সংবাদ পরিবেশন করার কারণে আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এটা যাতে আমাকে না পড়তে হয় তার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
আইনজীবীদের আরো পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আইনজীবী এবং বিচারকদের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের বিষয়ে কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি। এ প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত ও দেশের সব আদালতের বিচারকদের আরো দায়িত্বশীল হতে আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, বিচারকদের বিচারিক জীবনে প্রবেশ করার আগের সব আদর্শিক চিন্তা পরিহার করে বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিকে মনস্থির করে জুডিশিয়াল বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এগুতে হবে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার সর্বশেষ বিচারিক কাজে বিচারপতি হিসেবে জড়িত থাকার জন্য তিনি গর্ববোধ করেন। তিনি বলেন, সপরিবার বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেল হত্যা মামলার তদন্তে গাফিলতি ছিলো। মামলায় মাত্র ১৫/১৬ জনের বিচার হয়েছে, দুই ঘটনায়ই অনেকেকে বিচারের আওতায় আনা যায়নি শুধুমাত্র মামলা সংক্রান্ত নানা দুর্বলতার কারণে। এসব নিয়ে তিনি অবসরের পর বই লিখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসন, সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি এডভোকেট জয়নাল আবেদিন, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্যান্য আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।