অগ্রসর রিপোর্ট : মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। ইতিমধ্যে ইউরোপের অনেক দেশে নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় দেশের সব বন্দরে বিদেশ থেকে আগতদের করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই নির্দেশ দেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবার ব্যাপকভাবে দেখা দিচ্ছে। এখন ইউরোপের অনেক দেশ, ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে।’
নিজে সুরক্ষিত থাকা এবং অন্যকে সুরক্ষিত রাখার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো কাজে সবাই মাস্ক ব্যবহার করবেন। সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকবেন তেমনটা নয়। কিন্তু যখন কারও সঙ্গে মিশবেন এবং জনসমাগম বা মার্কেটে যাবেন, তখন মাস্ক পরে অবশ্যই নিজেকে সুরক্ষিত করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই করোনাভাইরাস দেখা দিচ্ছে ইউরোপের সব জায়গায় এবং আমাদের দেশেও আসতে শুরু করছে, তখন সঙ্গে সঙ্গে আমরা ২১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলাম। এখনো আবার সময় এসে গেছে। এখন থেকে যারা বাইরে থেকে আমাদের দেশে আসবে, তাদের পরীক্ষা করা, কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়ে এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা পোর্টে আগের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ ঢুকতে গেলেই, করোনাভাইরাস নিয়ে ঢুকছে কি না সেটা পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
করোনার মধ্যে বিশ্ব স্থবির হয়ে গেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যেন চাঙ্গা থাকে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘অর্থনীতির গতি অনেকটা সচল আছে, যা অনেক উন্নত দেশও করতে পারছে না। তাছাড়া আমাদের অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট, সেগুলোও এগিয়ে যাচ্ছে। যেমন- পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতি সচল করার জন্য যা যা করার দরকার করেছি। এটা কার জন্য করেছি? আজকে যারা যুবক, আগামী দিনে দেশের কর্ণধার হবে, আজকে যে শিশুটার জন্ম হলো তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এসব পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি।’
এ সময় তিনি যুবকদের চাকরির পেছনে না দৌড়ে নিজেরা উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। সোনার হরিণের সন্ধানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ গমনের প্রতিও নিরুৎসাহিত করেন তিনি।