এদিকে বাসায় মানুষের মরদেহ এনে সেটা প্রক্রিয়াজাত করে কঙ্কাল তৈরি করা হতো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কিভাবে ও কেন সেখানে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় এসেছে সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মিরপুর জোনের উপকমিশনার মাসুদ আহমেদ। এসআই আবদুস সালাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পুলিশ কামরুজ্জামানকে পায়; নিজেকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের শেষ বর্ষের ছাত্র বলে পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। ওই বাসায় শাহীন ও রুবেল নামে তার ২ সহকারীও থাকেন। পুলিশ আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, কামরুজ্জামান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছেন। তবে পুলিশের কাছে নিজেকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। বাড়ির মালিক ইলিয়াস সাইফুল্লাহ বলেন, কামরুজ্জামান এক মাস আগে নিজেকে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলা ভাড়া নেন। পুরান ঢাকায় তার কেমিক্যালের ব্যবসা রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন।
বাড়ির মালিক জানান, শনিবার দুপুরের দিকে তৃতীয় তলার এক বাসিন্দা দ্বিতীয় তলায় কোনোকিছুকে জোরে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হচ্ছে এমন শব্দ ও বিকট গন্ধ পেয়ে সেখানে যান। বারবার দরজায় কড়া নাড়ার পরও প্রথমে বাড়ির দরজা খুলছিলেন না কামরুজ্জামান। পরে বাড়ির অন্য বাসিন্দারা গেলে তিনি দরজা খোলেন। এরপর বাড়ির ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, অনেকগুলো কার্টনে মানুষের মাথার খুলি, হাড়, হাত ও পায়ের হাড় রয়েছে। কিছু হাড়গোড় বাড়ির মেঝেতেও পড়েছিল।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।