অগ্রসর রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান শুক্রবার চীনের একগুয়েমির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে একত্রে থাকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি বিষয়ে সহযোগিতা জোরদারে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত তার প্রথম সম্মেলনে জোটের ঐক্য প্রদর্শনের অংশ হিসেবে তারা এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। খবর এএফপি’র।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে তার প্রথম বিদেশি অতিথির জন্য প্রায় তিন মাস অপেক্ষা করে বাইডেন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদ সুগাকে বলেন, নিরাপত্তা ইস্যু এবং দেশের বাইরে জাপানের প্রতি ‘আমাদের অবিচল সমর্থন’ রয়েছে।
হোয়াইট হাউস রোজ গার্ডেনে সংবাদ সম্মেলনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাইডেন বলেন, ‘২১ শতকে গণতন্ত্র যাতে এখন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে এবং বিজয়ী হতে পারে সেটা প্রমাণে আমরা একত্রে কাজ করে যাচ্ছি।’ এ সময় ভালবেসে তিনি জাপানের নেতাকে ‘ইয়োশি’ অভিহত করেন।
বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান মেরিটাইম পদক্ষেপ, হংকং ও জিনজিয়াংয়ে তাদের দমনপীড়ন এবং তাইওয়ান প্রশ্নে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিষয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এক যৌথ বিবৃতিতে চীনের সাথে ‘সুস্পষ্ট আলোচনার’ আহ্বান জানানো হয়।
জাপান শাসিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জকে অন্তর্ভূক্ত করে করা ইউএস-জাপান সিকিউরিটি ট্রিটির কথা বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়। তবে চীন এটি তাদের বলে দাবি করে এবং বেইজিং এ দ্বীপপুঞ্জকে দিয়াওউ নামে অভিহিত করে। তারা সেখানে ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রদর্শন করে।
ওই বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার গুরুত্বের কথা স্বীকার করে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পূর্ব চীন সাগরে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যেকোন একতরফা প্রচেষ্টার আমরা বিরোধী।’
বেইজিং তাইওয়ানে বিমান হামলা জোরদার করায় বাইডেন ও সুগা বিবৃতিতে তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন এবং তারা এ ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানকে উৎসাহিত করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।