অগ্রসর রিপোর্ট : বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ খুব পরিশ্রমী, সহজে পিছিয়ে পড়েন না। তারা ভালো কাজ করতে জানেন। বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান এ অবস্থা বিশ্বব্যাংকে আরো অর্থায়নে উৎসাহিত করছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত সোশ্যাল ডেভেলপমেট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) ‘নতুন জীবন’ প্রকল্প পরিদর্শন করে এ কথা বলেন তিনি।
জিম ইয়ং কিম বলেন, এখানকার দরিদ্র নারীদের পরিবর্তন দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই দরিদ্র নারীরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। মাছের চাষ, গাভি পালনসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা। সুবিধা নিয়েছেন-এমন নারীদের সঙ্গে আলাপ করে বুঝলাম, এই নারীরা এখন আত্মপ্রত্যয়ী। তারা এখন তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন। তাদের আরো উন্নয়ন দেখতে চাই।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের লোকজন খুবই কষ্টসহিষ্ণু। তারা কঠোর পরিশ্রমী এবং তাদের পারস্পরিক মেলবন্ধন দারুণ। এ ধরনের প্রকল্পের কারণে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রতি অঙ্গীকার ও বিনিয়োগ আরো বাড়াবে।
জিম ইয়ং কিম বলেন, এ দেশের দরিদ্র নারীদের উন্নয়নে আরো অর্থ সাহায্য দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। বিভিন্ন প্রকল্পে উপকারভোগী সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন।
আজ সকাল সাড়ে ৮টায় হেলিকপ্টারযোগে বরিশাল বিমানবন্দরে পৌঁছান জিম ইয়ং কিম। সেখান থেকে সরাসরি যান বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামের ‘রাকুদিয়া গ্রাম সমিতি’ পরিদর্শনে। বিশ্বব্যাংকের অর্থসহায়তায় গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার বেশ কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে এই সমিতির নামে কাজ করছে ‘সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।
বাবুগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্প পরিদর্শন শেষে উজিরপুর উপজেলার ভরসাকাঠী গ্রামের ভরসাকাঠী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার পরিদর্শন করেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট। সেখানে স্থাপিত সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও ঘুরে দেখেন তিনি। পরে ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল ছাড়েন জিম ইয়ং কিম।
বরিশাল-২ আসনের এমপি তালুকদার মো. ইউনুসসহ স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা বরিশাল সফরে কিমের সঙ্গে ছিলেন।