অগ্রসর রিপোর্ট : কানাডিয়ান বোম্বারডিয়ার বিমান কোম্পানি বাংলাদেশকে আরো দ’ুটি ড্যাশ কিউ ৪০০ টার্বোপ্রোপস বিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের কাছে একই মডেলের ৭৪ আসন বিশিষ্ট তিনটি সম্পূর্ণ নতুন বিমান সরবরাহ করবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী মঙ্গলবার বাসস’কে বলেন, ‘বোম্বারডিয়ার আমাদের জানিয়েছে যে তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে আরো দুটি কিউ ৪০০ বিমান বিক্রি করতে চাইছে। যদি তারা আমাদের কাছে ভাল প্রস্তাব দেয়, তবে আমরা তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখতে পারি।’
এ ব্যাপারে আগামী বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সংশ্লিষ্ট উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বোম্বারডিয়ার কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট ও কানাডিয়ান হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিমান বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে পাঁচ বছরের জন্য দুটি বোম্বারডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ বিমান লীজ নিয়েছে।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ভাড়া করা এই দ’ুটি বিমানের সাহায্যে পাঁচটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। যেখানে দেশের সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটের সবগুলোতেই দ’ুটি প্রাইভেট বিমান নোভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আলী বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে বিমান চলাচল বাড়ানোর পাশাপাশি কোলকাতা ও ইয়াঙ্গুনের মতো বিভিন্ন আঞ্চলিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আমাদের আরো বিমান প্রয়োজন।’
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, বোমবারডিয়ার বাণিজ্যিক বিমান কোম্পানি তাদেরকে জানিয়েছে যে বাংলাদেশ সরকার চাইলে তারা ২৪ মাসের মধ্যে আরো দুটি সম্পূর্ণ নতুন ড্যাশ কিউ ৪০০ বিমান সরবরাহ করতে পারবে।
২০১৮ সালের ১ আগস্ট রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোম্বারডিয়ানের কাছ থেকে তিনটি ড্যাশ কিউ ৪০০ এনজি সিরিজের বিমান ক্রয়ের জন্য কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের (সিসিসি) সাথে একটি জি২জি (সরকারের সাথে সরকারের) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
২০২০ সালের মার্চ, মে ও জুন মাসে বোম্বারডিয়ার বাংলাদেশ সরকারের কাছে তিনটি সিঙ্গেল ক্লাস ড্যাশ বিমান হস্তান্তর করবে।