অগ্রসর রিপোর্ট: দেশের বিদ্যুতের ঘাটতির যোগান দিতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবহারে প্রতি ইউনিটে খরচ ২১ টাকার বেশি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বলেন, ‘আগামী ২০ জুলাই আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে দেশের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনসিনারেশন প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ নেব। সেই বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ২১ টাকার বেশি পড়বে। সরকার এখানে একটা সাবসিডি (ভর্তুকি) দেবে। আর বড় বিষয় হলো, এর মাধ্যমে বর্জ্যের একটা ব্যবস্থা হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ডিএনসিসি ৩০ একর জায়গা দিয়েছে। সেখানে দৈনিক তিন হাজার টন বর্জ্য সরবরাহ করা হবে। বর্জ্য সরবরাহ করতে হবে বিনামূল্যে। উৎপাদিত ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পিডিবি চুক্তিমূল্য অনুযায়ী কিনে নেবে। এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না। উৎপাদনে ডিজেলের চাইতেও খরচ কম হবে। ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে উৎপাদনে যেতে পারবো বলে আশা রাখি। অন্যান্য সিটি করপোরেশনেও একই প্রক্রিয়া চলমান। সামনে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলেও জানান তিনি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিনের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও, সেটা সামাল দেওয়া গেছে। সামনে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, পরিবেশবাদীরা অনেক কিছুই বলেন। কয়লার মাধ্যমে উৎপাদন তো বন্ধই আছে। এখন ওনারা কী বলবেন? পরিবেশবাদীদের উচিত আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া। কয়লার উৎপাদন বন্ধ রেখে দেখছি কী হয়। তারা বলতো কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে সুন্দরবনসহ অনেক কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয়, যা থেকে তিন হাজার টন বর্জ্য প্ল্যান্টে দেওয়া হবে।