অগ্রসর রিপোর্ট : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আগামী বছরের ১ জানয়ারিতে কোন ট্যানারি শিল্প কারখানা হাজারীবাগে থাকবে না। আজ সাভারস্থ বিসিক চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্প পরিদর্শনকালে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সকল ট্যানারি শিল্প-কারখানা হাজারীবাগ হতে সাভারস্থ চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরের কাজ শেষ করে উৎপাদনে যেতে হবে। যে সকল ট্যানারি শিল্প-কারখানা এখনও সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে তাদের শিল্প-কারখানা নির্মাণ কাজ আরম্ভ করেনি তাদের বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল করা হবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, দেশের প্রধান রপ্তানি খাতের একটি অন্যতম খাত হচ্ছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে ১২০ থেকে ১৮০ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের প্রয়োজন হয়। যে কারণে দূষণের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য ঢাকা মহানগরীর হাজারীবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ট্যানারিসমূহকে একটি পরিবেশসম্মত স্থানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ধলেশ্বরী নদীর তীরে সাভার ও কেরানীগঞ্জ উপজেলার কান্দিবৈলারপুর, চরনারায়নপুর ও চন্দ্রনারায়নপুর মৌজা এলাকায় ২শ’ একর জমির উপর বিসিক চামড়া শিল্পনগরী বাস্তবায়ন করছে ।
তিনি জানান প্রকল্পের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধণাগার (সিইটিপি) নির্মাণের কাজ শতকরা ৯৩ ভাগ শেষ হয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ আগামী ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। মন্ত্রী আরো জানান শিল্প নগরীতে ১৫৫ টি শিল্প ইউনিট-এর মধ্যে ১৫৪টি শিল্প ইউনিটের লে-আউট অনুমোদিত হয়েছে। মামলা জনিত কারণে ১টি শিল্প ইউনিটের লে-আউট অনুমোদন করা যায়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য ৪৭টি ট্যানারি ট্যানিং ড্রাম স্থাপন করলেও মাত্র ১০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করে।
তিনি বলেন, জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য দেশে শিল্পায়ন জরুরি। তবে কোন শিল্প-কারখানা যদি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায় এমন শিল্প-কারখানা স্থাপন না করতে দেয়া সরকারের কর্তব্য। তাই সরকার প্রচুর টাকা ব্যয় করে সাভারের চামড়া শিল্পনগরী স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করার অপপ্রয়াস সরকার কঠোর হাতে দমন করবে। ট্যানারিসমূহকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার স্বার্থে এ পর্যন্ত ১২৯টি ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ প্রদান বাবদ ৮২ কোটি ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে জানানো হয় সাভারস্থ চামড়া শিল্পনগরীর মূল কাজসমূহ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে সিইটিপিতে পরীক্ষামূলক ট্রিটমেন্ট চলছে। আরডিএ, বগুড়া কর্তৃক নির্মিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন চালুকরণের নিমিত্ত বৈদ্যুতিক লাইসেন্স বোর্ডের ছাড়পত্র ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। গত ৩০ জুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।