চলতি বছরের নভেম্বরে থ্যালাসের কাছ থেকে ফ্রান্সে স্যাটেলাইটটি বুঝে নেবে বিটিআরসি। পরে তা নিয়ে যাওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে। সেখানেই ফ্যালকন-৯ সেটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করবে। বিটিআরসি বলছে, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের জন্যে এটি অত্যন্ত বড় একটি অর্জন।
এ বিষয়ে বিটিআরসি বলছে, স্পেসএক্স-এর সঙ্গে থ্যালাসের চুক্তি স্বাক্ষর একটি বড় পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে পরিকল্পিত সময়ের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উড়ানো সম্ভব হবে।
এদিকে স্যাটেলাইটি নির্মাণে বেশীরভাগ কাজই ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আর স্যাটেলাইটটি ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে।
স্যাটেলাইটটি উৎপেক্ষনে সব মিলে খরচ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৯’শ কোটি টাকা। যদিও প্রকৃত খরচ এর চেয়ে কয়েকশ কোটি টাকা কম হবে বলে বলা হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে টিভি চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কাজে বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করায় বছরে এক কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আকাশে উড়লে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।
দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে ভূমিকা রাখবে এ কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি চালু হলে বিদেশি স্যাটেলাইট ছাড়াই দেশের প্রত্যক্ত অঞ্চলে কম মূল্যে সম্প্রচার সেবা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্সিংয়সহ তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এটি। প্রস্তাবিত স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটির মধ্যে ২০টি বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে, যার পুরো বিষয়টি স্যাটেলাইট কোম্পানি দেখবে।