হকারদের উচ্ছেদে নানা চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সিটি করপোরেশনের নতুন এই পরিকল্পনাও ভেস্তে যাবে কি না-সে নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে হকারদের একাংশের বিরোধিতার কারণে। হকার্স ফেডারেশনের সঙ্গে ওই মতবিনিময়ে আসা সিদ্ধান্ত মানছেন না হকারদের আরেক সংগঠন হকার্স ইউনিয়ন। এই সংগঠনের নেতাদের দাবি, ফেডারেশন হকারদের মূল সংগঠন নয়। সংগঠনটিকে মেয়রের দালাল হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয় বিক্ষোভে।
মেয়র খোকনের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রবিবার থেকেই। তবে আগের দিন সমাবেশে হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি সেকেন্দার হায়াত বলেন, ‘রবিবার সকালেই হকাররা ফুটপাতে বসবে। যদি তাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেবো।’
সেকেন্দার হায়াত সন্ধ্যার পর পণ্য নিয়ে বসতে মেয়রের পরিকল্পনা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, এই সময় বেচাকেনা কতটুকু হবে? এই আয় দিয়ে তাদের সংসার চালানো সম্ভব নয়।
মেয়র খোকন হকার সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ে সুনির্দিষ্ট সময়ে হকার বসা ছাড়াও দুই হাজার ৫০৪ জন হকারকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন তাদেরকে দেশ বা বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
তবে মেয়রের এই ঘোষণার তিন দিনের মাথায় বিক্ষোভে হকার্স ইউনিয়নের নেতারা দাবি করেন, এই ২৫০৪ চার জনের তালিকা একটি আইওয়াশ। তাদের দাবি, রাজধানীতে হকারদের সংখ্যা ১০ লাখ। পুনর্বাসন করলে করতে হবে সবাইকেই।
হকার নেতা সেকেন্দার হায়াত বলেন, ‘আমাদের যতক্ষণ পর্যন্ত পুনর্বাসন না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত উচ্ছেদ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘যেখানেই উচ্ছেদ, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে।’
সমাবেশে হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজী জলিল বলেন, ‘আমরা হকারদের উচ্ছেদের চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। এরপরও যদি আমাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়, তাহলে নগরভবনে মেয়র থাকবেন কি না-এটাই প্রশ্ন।’