অগ্রসর ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেনের আমন্ত্রণে তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্ল্যাইট মঙ্গলবার বেলা ১২টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
সুইডেনে বাংলাদেশের কোনো সরকার অথবা রাষ্ট্রপ্রধানের এটিই হবে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।
সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় রাতে লন্ডনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
সেখানে একদিন যাত্রাবিরতির পর বুধবার স্থানীয় সময় রাতে তিনি সুইডেনের রাজধানীর স্টকহোমে পৌঁছবেন বলে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম সুইডেনে দ্বি-পক্ষীয় সফরে যাচ্ছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এর আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদাতা অন্যতম এই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনার এই সফর।
জানা যায়, সফরকালে দুই নেতার শীর্ষ বৈঠক শেষে বাংলাদেশ-সুইডেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে একটি যৌথ ইশতেহার কিংবা ঘোষণাপত্র সই হতে পারে।
সূত্রে আরো জানা যায়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে সুইডেন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (এসবিবিসি) এবং নর্ডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এনসিসিআই, ঢাকা) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।
মাহমুদ আলী বলেন, এই সফর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এজেন্ডা ২০৩০) অর্জন এবং দুই দেশের মধ্যে অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ইউরোপ ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।
সফরকালে সুইডিশ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-সুইডেন বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি ।