এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারি একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) ও বিমান মন্ত্রণালয় পৃথক ৩টি কমিটি গঠন করেছে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিমানের জেনারেল ম্যানেজার শাকিল মেরাজ বলেন, তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির সদস্যরা হলেন- ফ্লাইটের নিরাপত্তা প্রধান ক্যাপ্টেন সোয়েব চৌধুরী, উপ-প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হানিফ ও মান নিশ্চিতকরণ ম্যানেজার নিরঞ্জন রায়। তিনি বলেন, কমিটিকে আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সিএএবি তার সিনিয়র কনসালটেন্স ক্যাপ্টেন ফরিদুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করেছে। সিএএবির জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান, কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে বিমান মন্ত্রণালয়ের ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকারকে। ৭ দিনের মধ্যে এ কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গী ৪ ককপিট ক্রু, ২০ কেবিন ক্রু ও ৪ এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিনিয়ারসহ ৯৯ জন যাত্রী নিয়ে বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি ১০১১) রবিার সকাল সোয়া ৯টায় হাঙ্গেরির রাজধানীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। বিমান সূত্র জানায়, কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি গতি পরিবর্তন করে বাংলাদেশ সময় সোয়া ২ টায় তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে কর্তব্যরত ইঞ্জিনিয়াররা বিমানটির ত্রুটি সারিয়ে ফেলে। পরে তুর্কমেনিস্তানের আশগাবাদে চার ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে বুদাপেস্টের উদ্দেশে যাত্রা করে।