আজ শনিবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২৫তম আন্তর্জাতিক ও ১৮তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবন্ধীদের মেধা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। বিদ্যালয়গুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের ভর্তি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীসহ অনগ্রসর-অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের কথা সংবিধানেই রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানে জাতির জনক শুধু সংবিধানেই এর সংযোজন ঘটাননি, প্রতিবন্ধীদের ভাগ্যের উন্নয়নেও সকল পদক্ষেপ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে জাতির উন্নয়ন স্তম্ভিত হয়ে যায়। যারা ক্ষমতায় আসে তারা সাধারণ মানুষের চেয়ে নিজেদের ভাগ্য গঠনে গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীসহ অনগ্রসর-অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী, অটিস্টিকসহ পিছিয়ে থাকা মানুষের সেবা করা অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে আসছি।
প্রতিবন্ধীদের উৎপাদিত পণ্য ব্যবহারে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো উৎসবে আমি প্রতিবন্ধীদের তৈরি কার্ড ব্যবহার করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরাই প্রতিবন্ধীদের জন্য আইন পাস করেছি। শিক্ষা খাতে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি। প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষার উন্নয়নে আমরা নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। বিসিএসে তাদের জন্য কোটা আমরা চালু করি। তাদের ভাতা দেয়া হচ্ছে। ১৫ লাখ প্রতিবন্ধীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের সব ধরনের সুযোগ আমরা দেব। সাধারণ ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তারা যেন পড়াশোনা করতে পারে। সাধারণ ছেলেমেয়েদের থেকে তাদের আলাদা করলে তা তাদের জন্য ভালো হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলায় আমরা অনেক ভালো করছি। আন্তর্জাতিকভাবে এগিয়ে গেছি। কিন্তু পুরস্কার অর্জন করছে প্রতিবন্ধীরা। ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে সবকিছুতে তারা এগিয়ে গেছে। তাদের জন্য আলাদা কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে আমরা আরো এগিয়ে নেব। সেই সঙ্গে প্রতিবন্ধীদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেব।