লাইাফস্টাইল ডেস্ক : ইসলামিক ঐতিহ্য অনুযায়ী রমজান মাস সবচেয়ে পবিত্র মাস। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় এই মাসে রোজা রাখেন। রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সূর্যোদয়ের আগে সেহরি খাওয়া হয় এবং সূর্যাস্তের পরে ইফতার করা হয়।
ঐতিহ্যগতভাবেই ইফতারের সময় খেজুর এর সাথে পানি, দুধ বা জুস গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইফতারের জন্য বিভিন্ন ধরনের চমৎকার সব খাবার প্রস্তুত করা হয়।
আফগানিস্তানের মানুষ ইফতারির জন্য স্যুপ তৈরি করেন, পেঁয়াজ দিয়ে মাংসের তরকারি রান্না করেন, কাবাব ও পোলাউ তৈরি করেন। আমাদের এই উপমহাদেশে মিষ্টি পানীয়, হালিম, জিলাপি, পরটা, পোলাও, মাংসের তরকারি, ফলের সালাদ, শামি কাবাব, পিঁয়াজু, বেগুনী এবং আরো অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে ও রাতের খাবারে যখন মাংস সমৃদ্ধ ও চর্বি জাতীয় ভারী খাবার বেশি খাওয়া হয় তখন তা পরিপাক তন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং পেট ফাঁপার সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাতে এ ধরনের কোন সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস জেনে নিন…।
১। খাবারের সাথে ফল মেশাবেন না :
রোজা ভাঙার সময় ফল খান অথবা খাবার খাওয়ার পরে ফল খান। অন্য খাবারে উপস্থিত খনিজ, চর্বি ও প্রোটিনের সাথে যখন ফল যুক্ত হয় তখন তা হজমে বাঁধার সৃষ্টি করে।
২। সামুদ্রিক খাবার, বাদাম ও মাংসের সাথে পনির যোগ করবেন না :
একবারে উচ্চ ঘনত্বের এক ধরনের প্রোটিনকে হজম করার জন্য আপনার শরীর প্রোগ্রাম করা। তাই একবারে একের অধিক প্রোটিন গ্রহণ করলে তা আপনার পরিপাক তন্ত্রের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করে।
৩। সাইট্রাস ফলের সাথে দুধের তৈরি খাবার মিশ্রিত করা এড়িয়ে চলুন :
প্রোটিন ও স্টার্চ একসাথে যোগ করা কোন ভালো ধারণা নয়। চর্বিহীন মাংসের সাথে তাজা সবজি খেয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেন।
সহজ ভাবে নিন :
আপনার খাবার শেষ করার জন্য তাড়াহুড়া করবেন না। সারাদিন রোজা রাখার পর যদি একসাথে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন তাহলে বদহজম ও গ্যাস্ট্রিকের অন্য সমস্যা হতে পারে। ইফতারের শুরুতে ফল, দই, শরবত বা স্মুদির মত তরল খাবার গ্রহণ করুন। এর বেশ কিছুক্ষণ পরে মূল খাবার খান। এর ফলে আপনার পাকস্থলী কিছুটা সময় পাবে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। ফলে সে ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে।