মেয়রের দাবি, গুলিতে নয়, ককটেলের আঘাতে শিমুল মারা গেছেন।
শাহজাদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংবাদিক শিমুলের জানাজা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এমপি স্বপন প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতাকর্মীর বরাত দিয়ে বলেন, পৌর মেয়র মিরু নিজে তার শর্টগান দিয়ে বাড়ি থেকে পর পর ৫টি গুলি করেন। যার একটি শিমুলের চোখে ও মাথায় বিদ্ধ হয়।
তিনি আরো বলেন, শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোনো দ্বন্দ্ব বা বিভেদ নেই। মেয়র নিজে ও তার দুই ভাই এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পৌর শহরে সন্ত্রাস করছিলেন। সাংবাদিক শিমুল পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মেয়রের নিজের শর্টগানের গুলিতে নিহত হন। আমরা এ ঘটনার জন্য মেয়রের গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালীন ছবি তুলতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। এরপর শুক্রবার বগুড়া থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী নুরুন নাহার বেগম গতকাল শুক্রবার শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে মেয়র হালিমুল হক, তার দুই ভাইসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পর পুলিশ পৌর মেয়রের লাইসেন্স করা শটগান জব্দ করে এবং তার ভাইকে আটক করে। পৌর মেয়র ঘটনার পর থেকেই পলাতক। এ ঘটনায় আজ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন ৬ জন।
শিমুলের নিহত হওয়ার ঘটনায় শাহজাদপুরে আজ শনিবার আধাবেলা হরতাল পালিত হয়।