অগ্রসর রিপোর্ট :এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে হালদার) হালদারের সঙ্গে অর্থ আত্মসাতে জড়িত রয়েছেন ৮৩ জন। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে বলে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পি কে হালদার-কাণ্ডে ৮৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদের সব অ্যাকাউন্ট এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে।
পাচার করা অর্থ কানাডা, সিঙ্গাপুর ও ভারতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুদক জানিয়েছে, পি কে হালদার ৬২ সহযোগীর মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা তার প্রায় ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা ফ্রিজ (স্থগিত) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা পি কে হালদারের প্রায় ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা জব্দ বা ফ্রিজ করা হয়েছে ।
অন্যদিকে হাইকোর্ট পি কে হালদারের সহযোগী হিসেবে ২৫ জনকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ২৫ জন হলেন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, হারুনুর রশিদ (ফার্স্ট ফাইন্যান্স), পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী, সামি হুদা, পি কে হালদারের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অবন্তিকা বড়াল, শামীমা (আইএলএফএসএল), রুনাই (আইএলএফএসএল), সাবেক সচিব ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান এন আই খান, সুকুমার মৃধা (ইনকাম ট্যাক্স আইনজীবী), অনিন্দিতা মৃধা, তপন দে, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অভিজিৎ চৌধুরী, রাজিব সোম, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, অঙ্গন মোহন রায়, নঙ্গ চৌ মং, নিজামুল আহসান, মানিক লাল সমাদ্দার, সোহেল সামস।
এর আগে পি কে হালদারের ৭০ থেকে ৮০ জন গার্লফ্রেন্ডের সন্ধানের কথা জানায় দুদক। গত ২০ ডিসেম্বর দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, পি কে হালদারের এসব গার্লফ্রেন্ডের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে।