অগ্রসর রিপোর্ট :ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক এমডি মো. রাশেদুল হক, ৯ জন বোর্ড মেম্বার, পি কে হালদারের আত্মীয়-স্বজন ও সহযোগীসহ মোট ২৯ জনকে আসামি করে ৭টি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ৫টি মামলা রোববার (১৪ নভেম্বর) সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২টির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এদিন দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তবে মামলার আসামির সংখ্যা উল্লেখ করলেও তাদের নাম জানাতে পারেনি দুদক।
দুদক সূত্র জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ১৫টি মামলা হয়েছে। মোট টাকার পরিমাণ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। মোট আসামি ৩৭ জন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ১১ জন। বিদেশ গমন নিষেধাজ্ঞা (রহিতকরণ) করা হয়েছে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে।
ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব জানান, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ৭টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ৩২০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদক কর্তৃক সাতটি মামলা রুজুর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বোর্ডের সদস্যগণ অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে জাল রেকর্ডপত্রাদি প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসাবে ব্যবহার করে উক্ত অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।
সংশ্লিষ্ট ঋণের বেনিফিসিয়ারি কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ৩১৮ কোটি টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে উক্ত অর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপনপূর্বক পাচার করে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক পৃথক ৭টি মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক:
জি অ্যান্ড জি এন্টারপ্রাইজের নামে ৩০ কোটি টাকা; তামিম অ্যান্ড তালহা ব্রাদার্স লিমিটেড ৩০ কোটি টাকার মামলা। দুইটি পৃথক মামলার বাদী দুদক উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান।
গ্রিন লাইন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের নামে ৬০ কোটি টাকার মামলা। বাদী দুদক উপপরিচালক মোছা. আফনান জান্নাত কেয়া।
এমটিবি মেরিন লিমিটেডের নামে ৬০ কোটি টাকার মামলা। পি অ্যান্ড এল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নামে ৫০ কোটি মামলা। দুইটি পৃথক মামলার বাদী দুদক উপপরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান।