অগ্রসর ডেস্ক :
সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফে ইয়াবা পাচারের ধরণ পাল্টে যাচ্ছে। পাচারকারীরা নিত্যনতুন কলাকৌশল অবলম্বন করে পাচারকাজ চালাচ্ছে। সেকালের পাচার ও বর্তমান পাচারকালের মধ্যে অনেক তফাৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশ যতই ডিজিটালের যুগে এগিয়ে যাচ্ছে সীমান্ত এলাকার ইয়াবা পাচারকারীরাও ডিজিটালের মাধ্যমে পাচারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইয়াবার গোড়াপতন: শুরু হয় ২০০৫ সালে। সে সময় লোকজন শরীরের বিভিন্ন অংশে ফিট করে পাচারকাজ চালিয়েছে। সে সময় এ ইয়াবার চাহিদা ও মূল্য কম থাকায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এর প্রতি নজর কম রাখত। দিন দিন ইয়াবার চাহিদা মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এর প্রতি আবাল বৃদ্ধবনিতা সকলেরই নজর পড়েছে। ফলে এর চাহিদা যেমনি বাড়ছে তেমনি বাড়ছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কড়া নজর। ঢিলেঢালাভাবে পাচার করতে গিয়ে সীমান্ত এলাকার অনেক যুবক,যুবতী বৃদ্ধা এমনকি শিশু পর্যন্ত আটক হয়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কড়া নজর আরোপ করায় ইয়াবা পাচারকারীরা তাদের ধরণ, স্থান, পাচারকারী ও পাচারের সমস্ত কিছু বদলিয়ে নতুন পদ্ধতিতে নিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা পাচার। পাচারের সময় অত্যাধুনিক স্বংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে পাচার করা হচ্ছে। অতীতে সড়ক যুগে ইয়াবা পাচার হত। বর্তমানে এ রুটকে পরিবের্তন করে গভীর বঙ্গোপসাগর দিয়ে পণ্যবাহী বড় বড় ট্রলার ও শীপ যোগে পাচার করা হচ্ছে। সড়ক পথে মানববিহীন বিভিন্ন পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন অংশে চুম্বক ফিট করে নিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা। এছাড়া বিভিন্ন কলাকৌশলে এ ট্যাবলেটগুলো নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এক কথায় বলতে গেলে পাল্টে গেছে ইয়াবার সম্পূর্ণ পাচারকাজ। অতীতে এ ইয়াবা পেশায় নি¤œবিত্ত পরিবারের লোকজন জড়িয়ে পড়েছিল। সেসময় মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের লোকজন এ ইয়াবা ব্যবসাকে ঘৃণার চোখে দেখত। বর্তমানে এ পেশায় সুইপার হতে আরম্ভ করে আলালের ঘরের দুলালেরা পর্যন্ত নিয়েজিত হয়ে পড়েছে। অতীতে এ ঘৃনীত ইয়াবা পাচার হত নিকৃষ্ট স্থান দিয়ে কদর ছিল কম। বর্তমানে এ নিকৃষ্ট পণ্য রাজার হালতে ভিআইপি উড়োজাহাজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে আলালের ঘরের দুলাল ও ভিআইপি লোকজন কদর বেড়েছে আকাশ ছোয়াঁ । এর যেমনি কদর বেড়েছে তেমনি বেড়েছে মূল্য। এত অল্পদিনের ব্যবসায় হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক। যে লোকজন এ ব্যবসার আগে নুনু আনতে পান্তা ফোরাত সে সমস্ত লোকজনের বাড়িঘর অট্রালিকা বিল্ডিং। বাড়ি, গাড়ি, নারীতে স্বংসম্পূর্ণ। নিচতলার লোকজন আকাশে স্থান নিচ্ছে। ফলে এলাকার নামীদামী সম্ভ্্রান্ত পরিবারের নাম নিশানা মুছে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে পর্যটকদের জন্য সৌন্দর্যের লীলাভ’মি করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এ ঘৃণ্যতম ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করতে না পারলে সকল পরিকল্পনা ও প্রকল্প ভেস্তে যাবে বলে সচেতনমহলের ধারণা। তাই বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প শেষ না হওয়ার আগেই এ অভিশপ্ত ঘৃণ্যতম ইয়াবা ব্যবসাগুলো বন্ধ করার জন্য কক্সবাজার তথা সীমান্ত এলাকা টেকনাফের লোকজন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।