অগ্রসর রিপোর্ট: কুয়েতে মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আটক সাংসদ মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের (পাপুল) সঙ্গে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে আবার সতর্কবার্তা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
গতকাল শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশি সাংসদের কেলেঙ্কারির সঙ্গে অনেকের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে, তার এই অপরাধকর্মে পারস্য উপসাগরীয় দেশটিতে নিযুক্ত ঢাকার রাষ্ট্রদূতও জড়িত থাকতে পারেন।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েতে বাংলাদেশি এমপি পাপুলের গ্রেপ্তারের যেসব বিস্তারিত তথ্য আসতে শুরু করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পাপুলের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতা সামনে আসছে।
পাপুলের সঙ্গে আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন তাকে আবার সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলে জানায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি।
এর আগে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সাংসদ পাপুলের সঙ্গে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
মোমেন বলেন, ‘আগে অভিযোগগুলো দেখা যাক। যদি বোঝা যায় কিছুটা সত্যতা আছে, তাহলে নিশ্চয়ই তদন্ত হবে। তাছাড়া তার নিয়োগের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এ মাসেই তার মেয়াদ শেষে তিনি চলে আসবেন।’
নতুন রাষ্ট্রদূত কে হবেন সেটাও চূড়ান্ত করা হয়ে গেছে বলেও সেদিন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে গতকাল কুয়েতের তদন্ত সূত্রের বরাত দিয়ে আরবি দৈনিক আল কাবাস জানায়, পাপুলের সঙ্গে অনৈতিক কাজে সহযোগিতার অভিযোগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহ আল সাবাহর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অর্থ ও মানবপাচার, ভিসা বাণিজ্য ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে বর্তমানে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন সাংসদ পাপুল। গত ২৪ জুন বাংলাদেশি এই সাংসদকে কুয়েতের অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে ২১ দিনের জন্য জেলে পাঠানো হয়। টানা ১৭ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর পাপুলকে জেলে পাঠানো হয়।
সাংসদ পাপুল গত ৬ জুন কুয়েতে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।