দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ-ওমান চেম্বার গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। এসময় তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট, ফার্নিচার, হ্যান্ডিক্রাফটসহ অন্যান্য সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশের ফার্মাসিটিউক্যাল, পাট, পর্যটন, ফার্নিচার, আইসিটি, হ্যান্ডিক্রাফটসহ অন্যান্য সেক্টরের উদ্যোক্তারা বাণিজ্য প্রতিনিধি দলকে এসব সেক্টরে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ওমানে ১ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি এবং ৪ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। অর্থাৎ দেশটির সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার। ওমানে বাংলাদেশ যে সব পণ্য রপ্তানি করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কৃষিপণ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, নীটওয়্যার এবং ওভেন গার্মেন্টস, ফুটওয়্যার, ফ্রোজেন ফুডস। এছাড়া প্লাস্টিক পণ্য, পাট ও পাটজাত দ্রব্য পণ্যও রপ্তানি হয় দেশটিতে। ওমান থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে থাকে প্লাস্টিক, রবার, বেস মেটাল এবং আর্টিকেল মেটাল, মিনারেল প্রোডাক্ট, লাইভ অ্যানিম্যালস, অ্যানিম্যালস প্রোডাক্ট, কেমিক্যাল, টেক্সটাইল আর্টিকেলসহ নানা ধরণের পণ্য।