অনলাইন ডেস্ক- পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুজা খানজাদা নিজের অফিসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। তার সাথে মারা গেছে আরো ১২ জন। পাঞ্জাবে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। গত মাসেই তিনি ঘোষণা করেন যে নিষিদ্ধ সুন্নি দল লস্কর-ই-জাংভি নেতাকে পাঞ্জাবের পুলিশ হত্যা করেছে।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় এবং প্রভাবশালী প্রদেশ পাঞ্জাবের এই মন্ত্রীর ওপর যখন হামলা হয় তিনি তখন তার নির্বাচনী এলাকা অ্যাটকে সমর্থকদের সাথে একটি বাড়িতে বৈঠক করছিলেন। বিস্ফোরণে বাড়িটির ছাদ পুরোপুরি ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মন্ত্রী সুজা খানজাদা সহ আরো অনেকে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত আশা করা হচ্ছিল হয়তো মন্ত্রীকে জীবিত পাওয়া যাবে। কিন্তু পরে তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়।
তার সাথে ঐ হামলায় মারা গেছেন আরো অন্তত ১২ জন। নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করেছে, এটা আত্মঘাতী হামলা ছিল। পাকিস্তানে বিবিসির সংবাদদাতা শাহজেব জিলানী বলছিলেন, মি খানজাদার মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছে পুরো দেশ। তিনি জানান, খানজাদা একজন সুপরিচিত সিনিয়র রাজনীতিবিদ যিনি পাঞ্জাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। অত্যন্ত তৎপর একজন রাজনীতিক ছিলেন তিনি। পাকিস্তানে সেনাবাহিনী এবং রাজনীতিকদের মধ্যে যোগসূত্র হিসাবে কাজ করতেন। সে কারণেই হয়ত তাকে টার্গেট করা হলো।
কট্টর সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠি লস্কর-ই-জাংভি এই হামলার কথা স্বীকার করেছে। তারা বলছে, জুলাইতে এই গোষ্ঠীর একজন নেতার পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়ার বদলা নিল তারা। বিবিসির শাহজেব জিলানী বলছেন, মি খানজাদার মৃত্যুতে পাকিস্তানে জঙ্গি বিরোধী তৎপরতা ধাক্কা খাবে সন্দেহ নেই। তার জীবনের ওপর বহুদিন ধরেই হুমকি ছিল। তা সত্বেও কেন তার যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিলনা – তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।