অনলাইন ডেস্ক- পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী করাচি শহরে সন্ত্রাসী হামলার একটি পরিকল্পনা নস্যাতের দাবি করেছে। বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িসহ নিরাপত্তা বাহিনী পাঁচ সশস্ত্র জঙ্গিকে আটক করেছে। গ্রেফতারকৃতরা সে দেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। পৃথক ঘটনায় করাচি শহরে বন্দুকধারীদের গুলিতে চার পুলিশ নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করাচি শহরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালায় তালেবানদের হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। আইএসপিআর বলেছে, তালেবানরা এদিন করাচিতে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোয়েন্দারা সোয়াত ও করাচিতে তালেবান জঙ্গিদের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার থেকে করাচি ও হায়দারাবাদে অভিযান শুরু হয়। গতকাল দুপুর নাগাদ আইএসপিআর শহর দুটি থেকে বিস্ফোরকবোঝাই দুটি গাড়ি, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ পাঁচ জঙ্গিকে আটকের কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানায়। আটকদের একজন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) বাহিনীর সোয়াত শাখার উপনেতা বখত জামান।
গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা করাচিতে হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে বলে আইএসপিআর জানায়। বখত জামান সম্প্রতি আফগানিস্তান সফর করেছে। আটকরা জানায়, তারা শুধু একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করেছে। করাচির অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলা যাদের দায়িত্ব, তারা আফগানিস্তান থেকে আসার কথা। এর আগে গত ডিসেম্বরে পেশাওয়ারের একটি স্কুলে টিটিপির হামলায় ১৫০ জন নিহত হয়। নিহতদের অধিকাংশই শিশু।
এদিকে পৃথক ঘটনায় করাচিতে গতকাল বন্দুকধারীদের গুলিতে এক এএসআইসহ কমপক্ষে চার পুলিশ নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, পুলিশের টহল দলের সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে একটি হোটেলে ঢুকলে অজ্ঞাতপরিচয় মোটরসাইকেল আরোহীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে চার পুলিশ নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। বন্দুকধারীরা পুলিশের অস্ত্র নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে। আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ কাইম আলী শাহ বলেছেন, পুলিশের ওপর হামলার সমুচিত জবাব দেয়া হবে।