অগ্রসর রিপোর্ট : পদ্মা সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আজ। বাণিজ্যিক যাত্রায় বুধবার রাত পৌনে ১০টায় আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে।
রেলের সময়সূচি অনুযায়ী, ভোর চারটার পর ট্রেনটি পদ্মা সেতু অতিক্রম করবে। ঢাকায় পৌঁছানোর কথা বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর অর্থাৎ বিকাল পৌনে চারটার দিকে খুলনায় পৌঁছানোর কথা ট্রেনটির।
খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সুন্দরবন ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে শোভন চেয়ার শ্রেণি ৫০০ টাকা, প্রথম শ্রেণির সিট ভাড়া ৬৬৫ টাকা, প্রথম বার্থ শ্রেণির ভাড়া ৯৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ৮৩০ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৯৯৫ টাকা ও এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার ৪৯৫ টাকা।
বর্তমানে যমুনা সেতু দিয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া ৫০৫ টাকা। দ্বিতীয় দিন বেনাপোল থেকে ঢাকায় আসবে বেনাপোল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ১৩টি বগি নিয়ে যাতায়াত করবে।
রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা ৮৬০টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি বার্থ ৪৮টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি। ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেনের আসন সংখ্যা ৯০৮টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি সিট ৯৬টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে খুলনা রুটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, ফরিদপুর শহর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ, চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ নয়টি স্টেশনে থামবে।
বেনাপোল এক্সপ্রেসও এখন থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করবে। ২ নভেম্বর যাত্রা করবে বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫)। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে।
প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রেন চলাচল করলেও পর্যায়ক্রমে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে কমিউটার ট্রেনসহ এই রুটে আরও কয়েকটি ট্রেন যুক্ত হবে।
এর আগে গত ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।