সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: শাহজাদপুরে নৌকায় পিকনিকের নামে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ৫ প্রমোদবালাসহ ১১ যুবককে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে শাহজাদপুর গঙ্গাপ্রসাদের করতোয়া নদী থেকে ৫ তরুণী প্রমোদবালাসহ ২৮ জন যুবককে আটক করে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলা থেকে ২৭/২৮ জন যুবক গানের শিল্পীর নামে দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে শাহজাদপুরে পিকনিকে আসে। তারা পিকনিকের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ১২টার দিকে শাহজাদপুর থানার এসআই গোলজার হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে করতোয়া নদীর গঙ্গাপ্রসাদ নামক স্থানে অভিযান চালান।
ওই দুই নৌকা থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় ৫ জন প্রমোদবালাসহ ২৭/২৮ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
আটক সবার বাড়ি শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে।
এদের মধ্যে ৫ জন প্রমোদবালা ও ১১ জন যুবককে রেখে বাকিদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া উল্লাপাড়া উপজেলার ছোনতলা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের (২২), রেজাউল ইসলামের ছেলে রনি (২০),তারাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তারেক (২০) ও আব্দুল মজিদের ছেলে রাসেল (২৫)।
তারা জানায়, পিকনিক করার জন্য তারা নৌকায় করে শুক্রবার করতোয়া নদী দিয়ে আনন্দ করতে করতে শাহজাদপুরের গঙ্গাপ্রসাদ নামক স্থানে পৌঁছালে শাহজাদপুর থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানিয়ে তাদের বাড়িতে খবর দেয়া হলে অভিভাবকরা শুক্রবার রাতেই শাহজাদপুর থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে নেয়।
তারা আরও জানায়, পুলিশ তাদেরসহ ১৭ জনকে ছেড়ে দিলেও উৎকোচ না দেয়ায় বাকিদের থানায় আটক করে রাখে।
তবে শাহজাদপুর থানা পুলিশ টাকা নিয়ে অনেককে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে তারা সবাই বয়সে নাবালক। তাই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।