কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওই সময়ে পূর্বেই কমিশন পুনর্গঠন চূড়ান্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতারা আলাপকালে জানান, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির। আর রাষ্ট্রপতি এ ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটা তারা মেনে নিবেন। দলটির বেশ কয়েকজন নেতা বলছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেও বিএনপির সাথে আলোচনা করা হয়েছিল। তারা সে সময় কিছু প্রস্তাবও দিয়েছিল। এরপর পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর দলটি নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দনও জানিয়েছিল। কিন্তু এরপর তারা এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সমালোচনা করেছে। নিজেদের পরাজয়ের পর থেকেই তারা কমিশনের সমালোচনা করছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি কোনো দলের নয়, তিনি দেশের। তাই তিনি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এতে আমারা রাষ্ট্রপতির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আমরা মনে করি রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এর মাধ্যমে দেশে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা কেটে যাবে। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিএনপি গঠনমূলক কোনো প্রস্তাব দিবে ‘
রাষ্ট্রপতির এমন উদ্যোগ স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা শুভ উদ্যোগ। আমি এটাকে স্বাগত জানায়।’