নিখোঁজ তরুণদের বিষয়ে কোনও কথা না বলতে ফেসবুকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গিদের পরিচালিত পেজে অনুসারীদের পরামর্শ দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘যেসব ভাই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন এবং আপনারা যদি ধারণা করতে পারেন তিনি জিহাদের জন্য গেছেন, তবে তার ব্যাপারে নীরব থাকুন।’
গুলশান আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়ায় হামলার পর জড়িত তরুণদের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি সামনে আসে। এর পরই যখন নানাভাবে নিখোঁজ তরুণদের নাম ও ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই ফেসবুকে জঙ্গিপাতাগুলোয় এদের নিয়ে কোনও কথা না বলার পরামর্শ প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া ব্লগ, অনলাইন ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিচ্ছে আনসার আল ইসলাম। পাশাপাশি তাদের ফেসবুক পেজে সম্মেলন করে নানা বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্বও পরিচালনা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা মনিটরিংয়ের কথা বললেও এ ধরনের কোনও কার্যক্রমই থামানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
সালাউদ্দিনের ঘোড়া, তোহফা মিডিয়া তাদের ওয়ার্ডপ্রেসের ব্লগে, ফেসবুকের পেজে হাজির করছে তাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম। ১৭ জুলাই নিজেদের পেজে নিখোঁজদের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তারা লিখেছে, যেসব ভাই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন এবং আপনারা যদি ধারণা করতে পারেন তিনি জিহাদের জন্য গেছেন, তবে তার ব্যাপারে নীরব থাকুন। কারণ আমরা ইংল্যান্ডে দেখেছি, এক ভাই সিরিয়াতে জিহাদে গিয়েছিলেন, তখন তার মা ছেলেকে না পেয়ে পুলিশের কাছে খোঁজ চান এবং নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন। কিন্তু কয়েক বছর পর সেই ভাই জিহাদ করে বাড়ি ফিরে আসেন এবং তখন তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসী হিসাবে জেলে পুরে দেয়। অর্থাৎ সেই মা যে জন্য তার ছেলেকে ফিরে পেতে চেয়েছিলেন তা বিফলে গেছে। তার ছেলে এখন জেলে বন্দি রয়েছে।
তাদের পাতায় প্রচারণাও চলছে দেদারসে। একটি পোস্টে লেখা, তাগুত যত বেশি জনগণকে চেপে ধরবে আমাদের দাওয়াহ ততো সহজে জনগণের কাছে তুলে ধরা যাবে…
তারা মনে করে, এখন জিহাদ প্রাসঙ্গিক। আল-কায়েদা প্রাসঙ্গিক। হারবি হত্যা প্রাসঙ্গিক… সাধারণের আগ্রহ যখন তুঙ্গে, সে সময় যদি আপনি তাদের খোরাক না মেটাতে পারেন তাহলে আর কবে? তাই এখনই এ বিষয়কে সামনে রেখে আমাদের বুকলেট, লিফলেট, আম-বয়ান, ভিডিও, পোস্টারিং (নিরাপত্তা বজায় রেখে)– ইত্যাদি যা যা সম্ভব সবই করা উচিৎ।