যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াজেদ আলী খোকন সাংবাদিকদের বলেন, সাত খুনের ঘটনায় করা দুটি মামলায় মোট ১০৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। অপহরণ, হত্যা, গুম ও ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনার সব তথ্য-প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান এই আইনজীবী। সে কারণেই রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের কাছে এই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ সাত জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল চয় জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১ মে আরো একজনের লাশ একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলাম ও তার চার সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ৩৫ জনকে আসামি করে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।