উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার গুলশান জোনের ভাটারা থানা এলাকা থেকে আঁখিকে আটক করা হয়। ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় আঁখিকে আটক করা হয়। আটকের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরদিন শুক্রবার দুপুরে আঁখিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাফ উদ্দিনের আদালতে পাঠায় পুলিশ। এদিন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিকেলে আঁখিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ অক্টোবর ফেসবুকে ‘ইসলাম অবমাননার’ ছবি পোস্ট করার অভিযোগে রসরাজ নামে এক জেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। হামলার ঘটনায় স্থানীয় বারোয়ারি মন্দিরের পুরোহিতসহ দুই ব্যক্তি দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১২শ’ জনকে আসামি করা হয়।
হামলার ঘটনায় হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আঁখির সম্পৃক্ততার বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে আসে।