নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবং আগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সবশেষ ২১ জনকে ধরা হয়। হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
যার নামে ফেসবুকে কথিত ‘অবমাননার’ পোস্ট এসেছিল, সেই মৎস্যজীবী রসরাজ দাসকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকা মৎস্যজীবী রসরাজের পক্ষে ছবি সম্পাদনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া সম্ভব কিনা – সে প্রশ্নও উঠেছে।
হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠার পর আওয়ামী লীগের স্থানীয় ৩ নেতাকে শুক্রবার দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনীতিতে ওই ৩ জনই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের সমর্থক বলে পরিচিত। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অপসারণের পাশাপাশি এই মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতা।
এ প্রেক্ষাপটে গতকাল রবিবার দুপুরে স্থানীয় ডাকবাংলোয় সংবাদ সম্মেলনে আসেন মন্ত্রী। তিনি এ ঘটনায় কোনোভাবে সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন।
ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরের প্রায় ১৫টি মন্দির ও শতাধিক হিন্দুবাড়িতে হামলা করা হয়। এর ৫ দিন পর উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫টি ঘর ও একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। প্রথম হামলার ঘটনায় নাসিরনগর থানায় অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নাসিরনগরে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।