উল্লেখ্য, বিজিএমইএ ভবন অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন আজ রবিবার খারিজ হয়েছে আপিল বিভাগে। ফলে এখন বিজিএমইএ ভবন ভাঙতেই হবে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ রবিবার এই রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে তা খারিজ করেন। ছয় বছর আগে হাইকোর্টের রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে ভবন ভাঙার আদেশ দেয়া হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত রায়ে কত দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে তা বলা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আদালতের রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশ। এখানে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা আছে। এটিকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তবে এর জন্য আমরা যাতে প্রয়োজনীয় সময় পাই, সেটা সক্রিয় বিবেচনা করা উচিত। আমরা আরেকটা বিল্ডিং করে সেখানে সরে যাওয়ার মতো প্রয়োজনীয় সময় চেয়েছি, যা আমরা পাব বলে আশা করি। এ ব্যাপারে সরকার আমাদের সক্রিয় সহযোগিতা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে অনেক দুঃখ থাকার পরেও যেহেতু প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে সবসময় সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছেন, তাই আমরা আশাবাদী অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সময় পাব। মহামান্য আদালত বিষয়টিকে বিবেচনা করবেন। আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সময় দেবেন। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এমন কোনো কাজ করেনি, যে কারণে এটিকে জাতীয়ভাবে ভিলেনে পরিণত করা হবে। আমি আশা করি এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।’
বিজিএমইএ নেতা বলেন, ‘আদালতের রায়কে আমরা অবমাননা করবো না। রায়কে মেনে নিয়েই আমরা অন্যত্র সরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা আশা করি, এটার একটা সুন্দর সমাধান পাবো।’
বৈঠকে কেনিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রধান সেক্রেটারি জুলিয়াস করির বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।