আজ মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আজ আদালত রুলে বিইআরসির নেয়া ওই সিদ্ধান্ত গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণের বিষয়টি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন। বিইআরসি, বিইআরসির চেয়ারম্যান ও সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গ্যাসের নতুন মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন গতকাল সোমবার রিটটি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সাইফুল আলম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গৃহস্থালিতে ও গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়।
সেখানে বলা হয়, আবাসিক গ্রাহকদের আগামী ১ মার্চ থেকে এক চুলার জন্য মাসে ৭৫০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৮০০ টাকা দিতে হবে। আর দ্বিতীয় ধাপে ১ জুন থেকে এক চুলার জন্য মাসিক বিল ৯০০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৯৫০ টাকা হবে।
পাশাপাশি যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম ১ মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটারে ৩৮ টাকা এবং ১ জুন থেকে ৪০ টাকা হবে।
পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার, শিল্প ও বাণিজ্যক খাতেও গ্যাসের দাম দুই ধাপে ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয় ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে।
ভোক্তা অধিকারকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ী সংগঠন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে। বাম দলগুলো মঙ্গলবার ঢাকায় আধাবেলা হরতালও পালন করেছে।