অগ্রসর রিপোর্ট:করোনা সংক্রমণের বর্তমানে পরিস্থিতিতে ১৪ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন কোয়ারেন্টিন থাকা যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর করোনা শনাক্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে।
রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এলে আমরা এখন ১০ দিনের জন্য আইসোলেশনের কথা বলবো।
জ্বর ভালো হয়ে গেলে, উপসর্গগুলো চলে গেলে ১০ দিন পরে তিনি আবার কাজে ফিরে যাবেন। আগে শর্ত হিসেবে আরটি-পিসিআর সনদ নিয়ে যেতে হতো, সেটি আপাতত আমরা স্থগিত রাখছি।
নাজমুল আরও বলেন, ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন সময় আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গগুলো হলো, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যথা, অবসন্নতা, হাঁচি, গলা ব্যথা, কাশি এই বিষয়গুলো কারো থাকলে পরীক্ষা করাতে হবে।
করোনা প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। যারা আগে থেকেই দীর্ঘ মেয়াদি রোগে ভুগছেন, করোনায় আক্রান্ত হলে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
করোনা শনাক্ত হওয়ার কতদিন পর বুস্টার ডোজ নেবেন:
দেশে এক মাসেরও অধিক সময় ধরে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে।
আগেই জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।
আরও জানানো হয়েছে, যারা যে টিকা কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, তারা সেই কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ পাবেন।
এই ডোজের জন্য এসএমএস দেয়া হবে। বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য নতুন করে টিকা কার্ড ডাউনলোড করে সঙ্গে নিতে হবে। তবে যারা এসএমএস পাচ্ছেন তারা যদি করোনা সংক্রমিত হন, তাহলে এ অবস্থায় টিকা নেবেন কি না; তা জানার আগ্রহ রয়েছে অনেকের।
স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর করোনা শনাক্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ নেয়া যাবে। নাজমুল ইসলাম বলেন, যারা দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর বুস্টার ডোজের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, যাদের কাছে এসএমএস এসেছে, তারা যদি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে নিতে না পারেন তাহলে করোনা শনাক্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পরে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।